মাঘের শীত বাঘের গায়ে’ যদি ও মাঘ মাস এখনও দুমাস বাকী। মাঘ মাসে শীতের তীব্রতা এত বেশী থাকে যে বাঘও কাবু হয়ে যায়।

তবে বিকেল বেলা পর্যন্ত সূর্য থাকছে। সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়তেই চারদিক কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে। আর শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে বাড়ছে শীত পোশাকের কদর। শীতার্ত ছিন্নমূল্য, দরিদ্র ও নিম্ন এবং মধ্যআয়ের মানুষ ফুটপাত বা খোলাজায়গায় শীত পোশাকের দোকান গুলোতে ভীড় করছে। বলা হয় উত্তরের জনপদ ‘হামার ঠাকুরগাঁও’ শীত আসতেই না আসতে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের মাঝে শীতের হাওয়া বইতে শুরু করেছে।

প্রকৃতিতে শীতের আগমন বার্তা শুরু হয়েছে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে হু হু করে বেড়ে গেছে শীতের পোশাকের কদর।

 

সরজমিনে ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুল বড় মাঠের উত্তর পশ্চিম ফুটপাতের দোকান ও ঠাকুরগাঁও পৌরসভার হকার মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে পুরাতন শীতের পোশাকের দোকান গুলো ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়।

তবে বিলাসবহুল পোশাকের দোকান গুলোতে বিক্রি কম হলেও ফুটপাতের দোকানগুলোতে এখন শীতবস্ত্রের চাহিদা অনেক বেশি। শীত মৌসুমকে ঘিরে চাহিদানুযায়ী সরবরাহে কয়েক মাস আগে থেকেই ব্যবসায়ীরা পোশাক মজুদ করেছেন। বিশেষ করে ফুটপাতগুলোতে বিক্রেতাদের হাঁক-ডাক আর ক্রেতাদের ভিড়ে জম্পেশ (জমজমাট) পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দেইখ্যা লন, বাইছ্যা লন, ‘একদাম’, ‘এক রেট’, একশ, ‘দেড়শ’ টাকা।

 

বিভিন্ন বাজার গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, কানটুপি, মাফলার, হাত-পায়ের মোজা, গায়ের সোয়েটার, জ্যাকেট ইত্যাদি পোশাকে সয়লাব হয়ে গেছে দোকানগুলো। ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতবস্ত্রের পাশাপাশি কম্বল ও জ্যাকেট বিক্রি হচ্ছে। অনেক দোকানে পোশাক সরিয়ে শুধু কম্বল ও জ্যাকেট সাজানো হয়েছে।

ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানদার খোকন বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর শীত বস্ত্রের দাম বেশী হলেও এবার শীত বেশী পড়বে বিধায় ক্রেতারা শীতবস্ত্র আগে ভাগেই কিনে রাখছে। দাম বেশী হলেও শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কম বেশী সবাই শীতবস্ত্র কিনছে। আর এর জন্য ধনী, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা ছুটছে ফুটপাতের অস্থায়ী গরম কাপড়ের দোকানগুলিতে। এখানে কাপড়ের প্রকার ভেদে মূল্য কম বেশী নির্ধারণ করা থাকলেও অসহায় মানুষেরা এখান থেকে গরম কাপড় সংগ্রহ করছেন।